১৮ শতাব্দীর শেষভাগে কুঁশাহাটা ঘাটে গোয়ালন্দের গোরাপত্তন হয়। দৌলতদিযা ইউনিয়নের কুঁশাহাট মৌজার পার্শ্বেই ছোট গোয়ালন্দ নামের একটি ছোট মৌজার সন্ধান পাওয়া যায় যা পাবনা জেলার সীমান সংলগ্ন পদ্মা যমুনার সীমা রেখার কাছাকাছি । পদ্মা যমুনার যৌবন জৌলুসের দিনে এক জীঘাংসু প্রকৃতির জলদস্যুর বিচরণ ছিল এ অঞ্চলে। গঞ্জালিশ নামের এ জলদস্যু পদ্মা মেঘনা যমুনায় ডাকাতি করে বেড়াত, যতদূর জানা যায় তার নামানুসারেই গঞ্জালিশ থেকে কালক্রমে গোয়ালন্দ নামের উৎপত্তি । গোয়ালন্দ ঘাটে গ্যাঞ্জেল ঘাট নামক স্থানে অতীতে জাহাজ নোঙ্গর করা হতো। এ পর্যন্ত ১১ বার নদী ভাঙ্গন/চর পড়ার কারণে গোয়ালন্দ ঘাট স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
<ইতিহাস ঐতিহ্যের রাজসিক সাক্ষী গোয়ালন্দ >
√ পর্তুগীজ জলদস্যু সেবাস্তিয়ান গোঞ্জালেসের নামানুসারে নামকরণ
√ ১৮২৯ সালে নৌপথ চালু (স্টিমারযোগে চলাচল)
√ উদ্দেশ্য: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার এবং পণ্য কলকাতা হতে বাংলার বিভিন্ন স্থানে পরিবহন
√ ১৮৪৪ সালে ইন্ডিয়ান জেনারেল স্টেম নেভিগেশন (আইজিএসএন) এই পথে চলাচল শুরু করে।
√ সেই সময় নারায়নগঞ্জ হতে গোয়ালন্দে পৌঁছাতে প্রায় ৬ ঘণ্টা লাগতো।
√নারায়ণগঞ্জ-কমলাঘাট-ষাটনল-বাহার-শুরেশ্যর-লৌহজং- মাওয়া-কাদিরপুর- নারিসা- ময়নুট- জেলালদী- কানিহাপুর- গোয়ালন্দ নৌরুট ব্যবহৃত হতো।
√ সে সময় কলকাতা থেকে গোয়ালন্দে প্লেজার ট্রিপের ব্যবস্থা ছিল।
√ ১৯৪৭ এর আগে রিভার স্টেম নেভিগেশন এবং ইন্ডিয়ার জেনারেল নেভিগেশন অস্ট্রিক, কিউই, ইমু এবং পেলিকেন নামক নৌযান গোয়ালন্দ-ঢাকা এবং গোয়ালন্দ-চাঁদপুর রুটে চলাচল করতো।
√ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী'র ১৯২ পৃষ্টায় গোয়ালন্দ ঘাটের স্মৃতিচারণ রয়েছে।
√ ২০ মার্চ ১৮৬৬ পত্রিকায় গোয়ালন্দে রেল লাইন স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
√ ১ জানুয়ারি ১৮৭১ কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ রেল চালু হয়।
√ ১৮৭৪ সালে গোয়ালন্দ থেকে কলকাতা ভ্রমণ রিটার্ন টিকিটসহ চালু হয়। (থার্ড ক্লাস অনলি)
√ এরই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই ১৮৯৫ চাঁদপুর ঘাট রেল স্টেশন চালু হয়।
√ সে সময় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট এবং আসামের যাত্রীরা গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে কলকাতা ভ্রমণ করতো।
√ ১৮৭১ সালে গোয়ালন্দ সাব ডিভিশন হয়।
√ সে সময় ফরিদপুর সদর, গোয়ালন্দ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর মিলে ফরিদপুর জেলা গঠিত হয়।
√ গোয়ালন্দ সাব ডিভিশন তিনটি পুলিশ স্টেশন নিয়ে গঠিত হয়। ( গোয়ালন্দ, বেলগাছি, পাংশা)
√ পদ্মার ভাঙনের কারণে ঘাট এবং রেল স্টেশন বার বার পরিবর্তন হয়। ফলে সাব ডিভিশনের প্রশাসনিক এবং থানার কাজ রাজবাড়ীতে স্থানান্তরিত হয়।
√ ১ মার্চ ১৯৮৪ সকল সাব ডিস্ট্রিক্ট জেলাতে রুপান্তরিত হয়। রাজবাড়ী জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
(গোয়ালন্দ উপজেলা হিসেবে রাজবাড়ী জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়!)
আপডেটঃ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস